শেষ সময়ে বেড়েছে ‘খাইট্টা’র কদর

খাইট্টার পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী। শনিবার বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ব্যাচকে হাটের ফার্নিচার পট্টি এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি গুরুদাসপুর: কোরবানি ঘিরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শেষ সময়ে ‘খাইট্টা’র কদর বেড়েছে। কোরবানির পশুর মাংস কাটাকাটির জন্য কাঠের এই খাইট্টা দারুণ কাজে আসে। একশ্রেণির মৌসুমি ব্যবসায়ী বিভিন্ন স্থানে খাইট্টার পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

গতকাল শনিবার উপজেলার ব্যাচকে হাটের রসুনহাট, পুরোনো ব্রিজ, ছাতার মোড়, ফার্নিচার পট্টিসহ বিভিন্ন মোড়সহ হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইট্টা। ওজন, আকার ও আকৃতিভেদে তেঁতুলগাছের প্রতিটি খাইট্টা ১৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতারা তা কিনছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেঁতুলগাছের সংকটের কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার একটু বেশি দামে খাইট্টা বিক্রি করছেন তাঁরা।

খাইট্টা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাইট্টার দাম। তেঁতুলকাঠের খাইট্টা সবচেয়ে ভালো। তাই এ কাঠের খাইট্টার চাহিদা ও দাম দুটিই বেশি। তিনি আরও বলেন, পাঁচ-সাত বছর ধরে কোরবানির ঈদের আগে খাইট্টার ব্যবসা করেন। গত বছরও প্রায় ৩০০টি খাইট্টা বিক্রি করেছিলেন। এবার আরও ভালো ব্যবসা করবেন বলে আশা করছেন তিনি।

এ বছর কোরবানির উদ্দেশ্যে একটি ছাগল কিনেছেন গুরুদাসপুর পৌর শহরের আনন্দনগর মহল্লার বাসিন্দা বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, মাংস প্রক্রিয়াজাতের জন্য একটি মাঝারি আকৃতির খাইট্টা কিনতে এসেছেন। আগের বছরগুলোতে যেসব খাইট্টা কেনা হয়েছিল, সেসব অযত্নে নষ্ট হয়ে গেছে। দর–কষাকষি করে ৩০০ টাকায় একটি খাইট্টা কিনেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর খাইট্টারও দাম বেড়েছে।