স্বস্তির বৃষ্টি | ফাইল ছবি |
বিশেষ প্রতিনিধি: ভারী বৃষ্টি এলাকা বদল শুরু করেছে। এক সপ্তাহ ধরে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সিলেটে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বিশাল মেঘমালা নিয়ে এবার দেশের উত্তরাঞ্চলের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। যাওয়ার পথে গতকাল শনিবার টাঙ্গাইলে ভারী বৃষ্টি ঝরিয়ে গেছে। রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ রোববার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি কমতে পারে। আর উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় বৃষ্টি বাড়তে পারে। গতকাল দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি ঝরেছে টাঙ্গাইলে, ১০৮ মিলিমিটার। আর দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে, ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য স্থানেও তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। এতে গরমের অস্বস্তি ছিল বেশি।
এদিকে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুধু উত্তরাঞ্চলই নয়, রংপুর বিভাগের উজানে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি ঝরবে। এতে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দ্রুত বাড়তে পারে। দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুরের নদ-নদীগুলোর পানি আগামী কয়েক দিন বাড়তে পারে। কয়েকটি জায়গায় পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, আগামী কয়েক দিন উত্তরাঞ্চল ও এর উজানে বৃষ্টি বাড়বে। এতে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে পারে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানি আরও অনেকগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে চলে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল আলম বলেন, মৌসুমি বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থায় আছে। ফলে আগামী কয়েক দিন সেখানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় যে এলাকাগুলোতে বৃষ্টি হবে না, সেখানে গরমের অস্বস্তি বাড়তে পারে।
এদিকে গতকাল রাজধানীর আকাশ কালো করে মেঘ জমতে থাকে। রাজধানীর বড় অংশজুড়ে বৃষ্টি হয়। তবে বিকেলে আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদের দেখা পাওয়া যায়। রাজধানীতে সারা দিনে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ঝরেছে। যা আজও একইভাবে অব্যাহত থাকতে পারে।