রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | ফাইল ছবি |
প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চারটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পরীক্ষা কেন্দ্র বিকেন্দ্রীকরণের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত চার সরকারি কলেজের স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মাস্টার্সে (স্নাতকোত্তর) ভর্তি হতে পারবেন।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী। যাতায়াতের অসুবিধা, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবাসনসংকট, যাতায়াতের অসুবিধা, অর্থের অপচয়, যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন হন তাঁরা। অভিভাবকদের দাবি ছিল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও যেন বিভাগীয় শহরগুলোতে আয়োজন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এটি আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সিদ্ধান্তটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আবাসন ও যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন সেটি লাঘব হবে।’ পর্যায়ক্রমে রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ শহরে যেন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়, এমন দাবিও করেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ সি ইউনিটের (বিজ্ঞান)
পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ৬ মার্চ এ ইউনিট
(মানবিক) ও ৭ মার্চ বি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার
তিনটি ইউনিটে ৩ হাজার ৯০৪টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১১৭টি আবেদন জমা
পড়েছিল। এ হিসাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৪ জন
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।