ইতিবাচক অভিজ্ঞতার সঙ্গে জীবনযাত্রার মান, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সামাজিক সম্পর্ক যুক্ত | ছবি: গ্যালাপের সৌজন্যে

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: বিশ্বের যেসব দেশের মানুষের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সবচেয়ে কম, সে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থার আট ধাপ উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের ‘বৈশ্বিক আবেগ: ২০২৪’ জরিপ প্রতিবেদন এমন চিত্র উঠে এসেছে।

২০২২ সালে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নিচ থেকে চতুর্থ আর স্কোর বা নম্বর ছিল ৫০। পরের বছর নম্বর বেড়ে ৫৬ হয়েছে। এতে অবস্থার আট ধাপ উন্নতি হয়ে বাংলাদেশ কম ইতিবাচক অভিজ্ঞতার মানুষের দেশগুলোর মধ্যে ওপরের দিকে তথা নিচের দিক থেকে ১২তম হয়েছে।

গ্যালাপ নিজেদের ওয়েবসাইটে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক অভিজ্ঞতার দেশগুলোর তালিকায় ৮৬ নম্বর পেয়ে শীর্ষে আছে প্যারাগুয়ে। এর পরে রয়েছে পানামা (৮৬) ও গুয়াতেমালা (৮৫)। তালিকার চার নম্বরে আছে মেক্সিকো (৮৪)।

গত বছর সবচেয়ে কম ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ছিল আফগানিস্তানের মানুষের। দেশটির নম্বর ছিল ৩৮। আগের বছরও এ তালিকার তলানিতে ছিল দেশটি। তলানির দিক থেকে এর পরেই রয়েছে নর্দান সাইপ্রাস, তুরস্ক ও লেবাননের অবস্থান। দেশগুলোর নম্বর যথাক্রমে ৪৬, ৪৭ ও ৫১।

ইতিবাচক ও নেতিবাচক অভিজ্ঞতাসংক্রান্ত পৃথক প্রশ্নমালার মাধ্যমে ২০২৩ সালে ১৪২টি দেশের প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার মানুষের (১৫ থেকে বেশি বয়সী) সাক্ষাৎকার নেয় গ্যালাপ। সাক্ষাৎকারগুলো ফোনে বা মুখোমুখি নেওয়া হয়।

ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচকে উত্তরদাতাকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেগুলো হলো গতকাল কি আপনার বিশ্রাম ভালো হয়েছিল? গতকাল পুরোটা দিন কি সম্মানজনক আচরণ পাওয়ার মধ্য দিয়ে কেটেছিল? গতকাল কম বা অনেক বেশি হেসেছিলেন? গতকাল কি আগ্রহোদ্দীপক কিছু শিখেছিলেন বা করেছিলেন? গতকাল দিনের বেশির ভাগ সময় কি এ অভিজ্ঞতা অনুভব করেছিলে বা কেমন উপভোগ করেছেন?

গ্যালাপ জানায়, গত বছর বিশ্বজুড়ে মানুষের সার্বিক আবেগসংক্রান্ত স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের বছর তুলনায় ভালো ছিল। গত ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচকের অবনতি হয়েছে।

২০২৩ সালে মানুষের পাঁচটি আবেগের তিনটির অবস্থাই আগের বছরের তুলনায় স্থিতিশীল ছিল। বিশ্বের প্রতি ১০ জনের ৭ জই বলেছেন, তারা ভালো বিশ্রাম নিতে পেরেছেন (৭১ শতাংশ), উপভোগ করেছেন (৭৩ শতাংশ) এবং হেসেছেন (৭৩ শতাংশ)।

দেশের ক্ষেত্রে নম্বর বা স্কোর দেওয়া হয় ০ থেকে ১০০-এর মধ্যে। বেশি নম্বর পাওয়ার অর্থ সেই দেশের মানুষের ইতিবাচক আবেগ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্কোরের সঙ্গে জীবনযাত্রার মান, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সামাজিক সম্পর্কে যুক্ত থাকার বিষয়গুলো জড়িত।