ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক জুড বেলিংহাম | উয়েফা |
খেলা ডেস্ক: যত গর্জে তত বর্ষে না।
ইংল্যান্ড ফুটবল দলের বেলায় কথাটা বেশ খাটে। প্রতিটা বড় টুর্নামেন্টের আগে ইংল্যান্ডকে নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়, কাগজে কলমে ওদের খুব শক্তিশালী দলও মনে হয়। কিন্তু মাঠের খেলায় শেষ পর্যন্ত সেই শক্তি প্রতিফলিত হয় খুব কমই। এবারের ইউরোতে ইংল্যান্ড কি ব্যতিক্রম কিছু করতে পারবে?
সার্বিয়ার বিপক্ষে আজ ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচটা দেখে থাকলেই ইংলিশ সমর্থকেরা মনে হয় না খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হবেন। হ্যাঁ, ম্যাচটা ইংল্যান্ড জিতেছে জুড বেলিংহামের একমাত্র গোলে, তবে তারকায় ঠাসা এই ইংল্যান্ড দলের কাছে যে পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত ছিল, সেটার দেখা মেলেনি। অবশ্য জয় মানেই ৩ পয়েন্ট, আপাতত সেটাই বড় স্বস্তি হওয়ার কথা ইংল্যান্ডের জন্য।
ক্লাব ফুটবলে শেষ হওয়া মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের বেলিংহাম ও ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। যদিও দুই ইংলিশ ফুটবলার সেই ফর্মটাকে জাতীয় দলের জার্সিতে ঠিক টেনে আনতে পারলেন না আজ। বেলিংহাম একটা দারুন গোল করেছেন ঠিকই। ১৩ মিনিটে বুকায়ো সাকার ক্রসে হেড করে এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে।
তবে এর বাইরে বেলিংহাম খুব যে আহামরি খেলেছেন এমন নয়। ফোডেনকেও ঠিক চেনা ফোডেনের মতো মনে হয়নি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে দারুণ মৌসুম কাটানো হ্যারি কেইন অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক প্রেদ্রাগ রাজকোভিচ। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড সার্বিয়াকে হতাশ করেন ডুসান ভ্লাহোভিচের বিপক্ষে দারুণ এক সেভ করে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে সার্বিয়াই বরং তুলনামূলক ভালো খেলেছে।
ম্যাচটা কতটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়েছে সেটা বোঝা যাবে একটা পরিসংখ্যানেই। ইংল্যান্ড (৫) ও সার্বিয়া (৬), দুই দল মিলিয়ে শট নিয়েছে মাত্র ১১টি। ১৯৮০ সালের পর থেকে ইউরোতে এর চেয়ে কম শটের ম্যাচ হয়নি আর একটিও!
আজ ম্যাচটা যেখানে হয়েছে জার্মানির সেই গেলসেনকির্শেনে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ
সফরের স্মৃতি খুব একটা ভালো ছিল না। এ মাঠেই ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার
ফাইনালে সভেন-গোরান এরিকসনের ইংল্যান্ড পর্তুগালের কাছে হেরেছিল পেনাল্টি
শ্যুটআউটে। বেলিংহাম তখন মাত্র ৩ বছরের শিশু। ১৮ বছর পর সেই একই মাঠ থেকে
ইংল্যান্ড যেন আবার দুঃখের কোনো স্মৃতি নিয়ে না ফেরে সেটা কিন্তু বেলিংহামই
নিশ্চিত করেছেন।