ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি | ফাইল ছবি: এএফপি |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে একটি ‘সমন্বিত পরিকল্পনা’ তৈরি করছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাতাসা পিয়ার্স মুসার। এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে একটি পরিকল্পনা সামনে আনা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিকল্পনায় বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থন থাকবে। যুদ্ধ থামাতে আমরা কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করছি।’
যুদ্ধ থামানোর কথা বললেও বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে এ নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে না। আর জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে সম্ভাব্য কোনো শান্তিচুক্তি থেকে দেশ দুটি এখন সবচেয়ে দূরে অবস্থান করছে।
শান্তিচুক্তির শর্ত হিসেবে কিয়েভ বারবার বলে এসেছে, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চলগুলো থেকে রাশিয়াকে অবশ্যই সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপও রয়েছে। এরপরই কেবল মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করবে কিয়েভ।
এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনী আরও অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর ভাষ্যমতে, রাশিয়ার অভিযানের মুখে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও এলাকা ছেড়ে গেছেন ইউক্রেনের সেনারা। মূলত সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে কিয়েভ। ওই এলাকাগুলো বর্তমানে রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রগতি পাচ্ছে রুশ বাহিনী। গত শুক্রবারও দেশটির একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এ ছাড়া ২০২২ সালে দেশটির চারটি অঞ্চল বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এই চার অঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই মস্কোর।