এবার সাঁথিয়ার কবরস্থান থেকে তিনটি কঙ্কাল চুরি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি দেখাচ্ছেন গ্রামবাসী। আজ দুপুর ১২টার দিকে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি বেড়া: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কবরস্থান থেকে রোববার রাতে তিনটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত শুক্রবার রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার চিনাখরা কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়। এ দুটি কবরস্থানই সাত-আট কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

রাজাপুর এলাকার লোকজন জানান, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে একটি গ্রামীণ কবরস্থান রয়েছে। আজ সোমবার সকালে ওই কবরস্থানের পুরোনো কয়েকটি কবরে এলোমেলো গর্ত দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে তাঁরা কবরস্থানের ভেতরে শুধু সাদা কাপড় পড়ে থাকতে দেখলেও ভেতরে কোনো মরদেহ বা কঙ্কালের চিহ্ন দেখতে পাননি। পরে দেখা যায়, কবরস্থান থেকে মোট তিনটি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। তবে এসব কঙ্কাল কাদের, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী ধারণা করছেন, গতকাল দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্বজনদের কবর ঠিক আছে কি না, তা দেখার জন্য কবরস্থানে অনেকে ভিড় জমান।

এলাকাবাসী জানান, রাজাপুর কবরস্থান থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুজানগর উপজেলার চিনাখরা কবরস্থান থেকে গত শুক্রবার রাতে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়ে যায়। এর আগে ১৮ মার্চ রাতে এই কবরস্থান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত বেড়া উপজেলার খাস আমিনপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরি হয়ে যায়। কবরস্থানগুলো থেকে এভাবে একের পর এক কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, আজ সকালে কবরস্থানের পাশে তিনি তিল শুকাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তাঁর নজরে আসে, একটি কবরের ওপরের বাঁশের ফালি উঁচু হয়ে আছে। তিনি অন্যদের সঙ্গে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে দেখেন, কবরটির মাটি সরিয়ে গর্ত করা হয়েছে। পরে তাঁরা মাটি সরিয়ে দেখেন, কবরের ভেতরে কোনো কঙ্কাল নেই। এভাবে একে একে তিনটি কবর থেকে দুর্বৃত্তরা তিনটি কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি জানান, রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়ে থাকতে পারে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কবরস্থানে পাহারা দেওয়াও সম্ভব নয়। তারপরও এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।