শবনম বুবলী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিনোদন প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে নিয়ে একাধিক চলচ্চিত্র বানিয়েছেন প্রযোজক ও পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল। নায়িকাকে নিয়ে তাই প্রায় সময়ই ইতিবাচক কথা বলতে শোনা গেছে এই পরিচালক ও প্রযোজককে। ইদানীং সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। দুজন দুজনকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। ‘রিভেঞ্জ’ মুক্তির কয়েক দিন পর মোহাম্মদ ইকবাল গণমাধ্যমে দাবি করেন, স্ত্রী হিসেবে শাকিবের ‘তুফান’ ছবিকে পরোক্ষভাবে সাপোর্ট করতে প্রচারণায় যাননি বুবলী।
এদিকে পরিচালকের এমন কথার কড়া জবাব দিয়ে বুবলী জানিয়েছেন, তিনি সিনেমার প্রতি দায়িত্বশীল, সে কারণে ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন। টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও ‘রিভেঞ্জ’ নিয়ে কথা বলেছেন। ‘তুফান’ প্রসঙ্গ আনাটা মোটেও ঠিক নয় বলে মনে করেছেন এই ঢালিউড তারকা। এমন কথা বলার পর এবার বুবলীকে নিয়ে ব্যক্তিগতও আক্রমণ করেন। জানালেন শুটিংয়ের সময় ঘটে যাওয়া অজানা এক কথা। ইকবালের দাবি, ‘রিভেঞ্জ’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাঁকে কক্সবাজারের শুটিং স্পট থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এরপর বুবলী ভুল স্বীকার করলে আবার তাঁকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।
পবিত্র ঈদুল আজহায় বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটি মুক্তি পায়। ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পায়নি ইকবাল পরিচালিত ছবিটি। মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যে ‘ফ্লপ’ হওয়ার কারণে একই পরিচালকের পরের ছবি ‘বিট্রে’ থেকে বুবলীকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা আসে। যদিও গণমাধ্যমে বুবলী বলেছেন, ‘বিট্রে’ থেকে তিনি নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। এরপর ইকবাল বলেছেন, ‘সে (বুবলী) যদি সরে দাঁড়ায়, তাহলে আমার সাইনিং মানি এবং ৪০ শতাংশ শুটিংয়ের টাকা ফিরিয়ে দিক। যেহেতু সে নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলল, এ নিয়ে আমি শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’
শবনম বুবলী | অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে |
এমন কথা বলার এক পর্যায়ে ইকবাল কক্সবাজারের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘একবার কক্সবাজারে শুটিং শুরু করার আগে বুবলীকে সেট থেকে বের করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, তোমাকে দরকার নেই, বের হয়ে যাও। ম্যানেজারকে বলেছিলাম ঢাকায় ফেরার জন্য বিমানের টিকিট করে দিতে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে এর এক ঘণ্টা পর এসে বুবলী শুটিং করেছিল।’ বুবলীকে কেন শুটিং সেট থেকে বের করে দেওয়া হয়—জানতে চাইলে এই পরিচালক বলেন, ‘এটা এখন বলা যাবে না। যদি কখনো এ নিয়ে বলতে হয়, তখন সব খুলে বলব।’
এ প্রসঙ্গে বুবলী কোনো মন্তব্য না করলেও এর আগে গণমাধ্যমে বুবলী বলেন,
‘আমার পরিবার বলেন, সহশিল্পী বলেন, স্বামী বলেন এবং সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে
আমার সন্তানের বাবা বলেন, তাঁকে নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি অসম্মানজনক কোনো
মন্তব্য করেন, আমি অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলব।’ তিনি বলেন, ‘যেদিন
থেকে দেখেছি, শাকিব খানকে নিয়ে ইকবাল ভাই আপত্তিকর মন্তব্য শুরু করলেন, তখন
থেকেই আমি তাঁকে এড়িয়ে চলি। এরপর ইকবাল ভাই আমাকে নিয়েও বেফাঁস কথা বলা
শুরু করলেন। এসব পরিস্থিতির আগেই “রিভেঞ্জ” ও “বিট্রে” সিনেমার শুটিং শুরু
হয়, যার কারণে পেশাগত জায়গা থেকে কাজগুলো শেষ করেছি।’