লালন শাহ সেতুতে হাঁটলেন রাষ্ট্রপতি, দেখলেন প্রমত্তা পদ্মা

লালন শাহ সেতুতে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ছবি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: লালন শাহ সেতু ঘুরে দেখলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা।

জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির গাড়িবহর সোমবার বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী প্রান্ত দিয়ে লালন শাহ সেতুতে প্রবেশ করে। মাঝে সেতুতে নেমে কিছু সময় কাটিয়ে তিনি ভেড়ামারা প্রান্তে পৌঁছান । এরপর ফিরতি যাত্রায় মাত্র ৫ মিনিটে সেতু পেরিয়ে আবার পাকশীতে ফেরে গাড়িবহর।

২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। ২০০৪ সালে ১৮ মে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই সেতুর কোল ঘেঁষেই নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সেতু এলাকায় পৌঁছালে সেতু কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ভেড়ামারার পথে রওনা হওয়ার পর সেতুর মাঝামাঝি পিলারের কাছে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন রাষ্ট্রপতি। ৫ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন এবং গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে পায়ে হেঁটে পদ্মার রূপ উপভোগ করেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি সেতু ভ্রমণের সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির আগমনে পুরো সড়ক পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

এর আগে তিনি উপজেলার দিয়াড় সাহাপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আবাসিক ‘গ্রিন সিটি’ এলাকায় রুশদের জন্য গড়ে উঠা আধুনিক বিপণি বিতান ঘুরে দেখেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রোববার নিজ জেলা পাবনায় আসেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নিজ জেলায় এটি তাঁর চতুর্থ সফর। ১২ জুন বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারে করে তাঁর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা।