নাটোরে বাসমালিকের ভাতিজাকে গুলি, আরেকজনকে কুপিয়ে জখম

নাটোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে ও গুলি করে ২ জনকে জখম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নাটোর: নাটোরে জেলা বাস মালিক সমিতির নেতাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে একজনকে গুলি ও একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে জেলা শহরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম সুবেল (২৭)। তিনি নাটোরের আরপি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ভাতিজা। আর কুপিয়ে জখম করা হয় বাস মালিক সমিতির কর্মী নীরেন্দ্র নাথকে (৪৫)। তাঁদের দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ বাবুল আখতারকে দায়ী করেছেন সমিতির অন্য নেতারা। ঘটনার প্রতিবাদে বাস কাউন্টারগুলোয় তালা দিয়ে বাসের চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা।

জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী বলেন, নাটোরে বাস মালিক সমিতির সদস্য ৩৫০ জন। প্রতি সদস্যের সর্বোচ্চ ১৫টি করে বাস নামানোর অনুমতি আছে। তবে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবর রহমান এ নিয়ম না মেনে ২০টি বাস নামান। এ নিয়ে সমিতির সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। এর জেরে মজিবর, নাবিলা পরিবহনের মালিক বাবুল আখতার ও খোকা নামের এক যুবকসহ ১০ থেকে ১২ জন বাস টার্মিনাল এলাকায় সমিতির কর্মী নীরেন্দ্র নাথকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে আরপি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ভাতিজা সুবেলের পায়ে গুলি করেন তাঁরা।

বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাসমালিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। সমিতির তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সব কাউন্টার ও বাস (জেলা মালিক সমিতির) চলাচল বন্ধ ঘোষণা করছি। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, ‘মারামারির বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। তবে বিকেলে আমার গাড়ি কাউন্টারে আটকে দিলে আমি প্রশাসনকে জানাই। তারা আমার গাড়ি ছাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আমার কোনো লোক জড়িত নয়।’

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুব্রত ঘোষ বলেন, একজনকে গুলিবিদ্ধ ও একজনকে কুপিয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু রায়হান বলেন, ‘ঘটনার পর বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক এখন। বাস চলছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ এজাহার নিয়ে আসেনি