নাটোরে চেয়ারম্যানের ছেলেকে কুপিয়ে জখম, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪

আটক | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি নাটোর: নাটোরের ছাতনীতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ছোট দুই মেয়ের সামনে বাবাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত আমজাদ হোসেন সরকার (৩৪) ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছেলে। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাঝদিঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মামুন পাঠানসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বাকি তিনজন হলেন একই এলাকার সোহানুর রহমান ওরফে কাজল, রবিউল পাঠান ও মো. আলামিন।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের অনুসারী। অন্যদিকে ইউপি সদস্য মামুন পাঠান স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল দুই মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন আমজাদ। প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। আমজাদের বাবা ছাতনী ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, ‘আমার ছেলে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। অবস্থা খুব খারাপ। দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। হামলার ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।