ছুরিকাঘাতে আহত সিয়ামকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে মারধর ও ছুরিকাঘাতে দুই শিক্ষার্থী আহত হাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বুধবার দুপুরে সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের পেছনে 'শিশুবাগান' এলাকায় এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, সিফাত হাসান সিয়াম (১৬) এবং ইশতিয়াক হোসেন (১৬)। হাসান সিয়াম উপজেলা সদরের আলোবাগ ক্লাবের সংগঠক রফিকুল হাসান তপন সরদার ও শেরশাহ রোড এলাকার স্বপন শেখের ছেলে। সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। আহত অবস্থায় তাঁদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিরব হোসেন (১৮) নামে ওই স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। সে ওই স্কুল থেকে এবার ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সাঁড়া গোপালপুর গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে সিয়াম সরদার ও ফতেমোহাম্মদপুর মহল্লার সোহেল প্রামাণিকের ছেলে নিরব হোসেনসহ ওই স্কুলের চারপাঁচজন সাবেক ছাত্র এক ছাত্রীকে বেশ কিছুদিন থেকে ইভটিজিং করে আসছিলো। ইভটিজিংয়ের শিকার স্কুলছাত্রীটি আহত ছাত্র সিফাত হাসানের আত্মীয়। ইভটিজিংয়ের ঘটনায় কয়েকদিন আগে সিফাত ও ইশতিয়াক ইভটিজারদের নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিয়াম সরদারসহ তাঁর সহযোগীরা সিফাত ও ইশতিয়াককে মারার হুমকি দেয়। এনিয়ে রেষারেষিও চলছিলো। এরই জের ধরে বুধবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুল পরীক্ষা শেষে সিয়াম সরদার ও নিরবসহ তাঁর চার-পাঁচজন সহযোগী মুঠোফোনে সিফাত ও ইশতিয়াককে স্কুলের পেছনে শিশুবাগানে ডেকে নিয়ে আসে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁরা সিফাতকে চাকু দিয়ে উপুর্যুপরি কুপিয়ে ও ইশতিয়াককে রড় দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভিযান চালিয়ে নিরব নামে একজনকে আটক করে।
আহত ছাত্রের বাবা রফিকুল হাসান তপন সরদার বলেন, স্কুলের ছাত্রীরা কিছু বখাটের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় ভয়ংকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইভটিজারদের কারণে। এই ইভটিজিংয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁর ছেলেসহ দুজন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি এ ঘটনায় বিকেলে এজাহার জমা দিয়েছেন বলে জানান।
ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, মূলত ইভটিজিং বাধা দেওয়ার কারনে ছুরিকাঘাত ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিয়াম সরদার ও তার বাবা বাবু সরদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।