পৌরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে  বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রাজিবুল আলম ইভান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভায় অস্বাভাবিক পৌরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

শনিবার সকালে বাজারের ১ নম্বর গেট এলাকার সড়কে 'ঈশ্বরদী সচেতন নগরবাসী' ব্যানারে এই কর্মসূচির হয়। 

এতে সভাপতিত্ব করেন পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রাজিবুল আলম ইভান। সঞ্চালনা করেন ঈশ্বরদী সচেতন নগরবাসী কমিটির সদস্য সচিব সুলতান মাহমুদ খান বিদ্যুৎ।

বক্তব্য দেন,  ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান লেলিন, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাহী সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন সোহাগ, লালপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ফরহাদ রেজা রবি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন, জেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রাগীব আহসান রিজভী, জাতীয় পার্টির পৌর শাখার আহবায়ক আশিকুর রহমান রাসেল, আদিবাসী নেতা রঞ্জু রবি দাস, যুবদলের পৌর শাখার সদস্য সচিব সাজেদুজ্জামান জিতু, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাবিব ও ব্যবসায়ী বাবলু প্রমূখ।

বক্তারা জানান, নিয়ম, নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে বেনাপোল পৌরসভার বসতবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে পৌরকর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে তারা হতভম্ব ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমন অনিয়ম যা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব না। এছাড়া আগে থেকে যেভাবে পৌরকর আদায় করা হচ্ছে সে ভাবে এলাকায় উন্নয়ন কাজ ও হচ্ছে না।

যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা জানান, কর যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার প্রতিশ্রুতিতে তিনি এখনো অনড়।

তিনি বলেন, 'হোল্ডিং ট্যাক্সের সর্বশেষ মূল্যায়ন করা হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং গত ১২ বছরে এটি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়নি। প্রতি ৫ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়নের বিধান আছে। যেহেতু মূল্যায়ন ১২ বছর পর হচ্ছে, তাই কিছু সমস্যা থাকতে পারে এবং তাই আমরা আপিলের বিধান রেখেছি,' বলেন তিনি।

মেয়র আরও বলেন, 'যদি কোনো করদাতা আপিল বোর্ডে আসেন, তিনি অবশ্যই বোর্ড যে কর নির্ধারণ করবে, তাতে সন্তুষ্ট হবেন এবং এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। একটি বোর্ড পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।'