দল বেঁধে ঢোকেন ‘নেতার’ অনুসারীরা, বুঝে ওঠার আগেই চলে ভাঙচুর

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবনের আঙিনায় গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে সরকারি কার্যভবনের আঙিনায় গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে নগরের আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবন ১-এ এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামেন একজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার অনুসারী বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে সমিতির কার্যালয়ের ভেতরে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম বসা ছিলেন। ২৫-৩০ জন দল বেঁধে এসে তাঁকে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ সময় তাঁকে মারধর করেন তাঁরা। এ সময় কক্ষের কাচের দরজা, অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম ভেঙে ফেলেন। ভাঙচুর করেন চেয়ার-টেবিল। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে জালাল (৩৫) ও সাকিব (২১) নামের দুজনকে আটক করেছে ডবলমুরিং থানা-পুলিশ।

রাত ৯টার দিকে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, সরকারি কার্যভবনের আঙিনায় গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীরা মূলত যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া এস এম পারভেজের অনুসারী। পারভেজকে ঠিকাদার সমিতি থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে হামলা হতে পারে। এর আগে ২০২১ সালে গণপূর্ত ভবনে ঢুকে হামলা করেছিলেন পারভেজ। এ ঘটনার পর প্রায় তিন বছর তিনি গণপূর্ত ভবনে আসেননি।

জানতে চাইলে এস এম পারভেজ বলেন, ‘এ ঘটনার আমি কিছুই জানি না। হামলাকারীদের মধ্যে তারা হয়তো আমার পরিচিত কাউকে দেখেছে। এ কারণে তাদের ধারণা আমি উসকে দিয়েছি। ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকেই আমার ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে।’

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে পারভেজকে দেখা যায়নি। ফুটেজ চেক করে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত তদন্ত শেষে বলা যাবে।