ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট বোর্ড বাদে দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৩ শিক্ষার্থী চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে আজ রোববার।

এদিন সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে।

২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাস করা সূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

রোববার যারা পরীক্ষায় বসছেন তাদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট ২ হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে।

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরদিন ৯ জুলাই ওই বোর্ডের ৮২ হাজার ৪১৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় বসবে।
বাকি আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৩ জন।

প্রবল বর্ষণ আর বন্যার কারণে গত বছরও তিন বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ দিন পেছাতে হয়েছিল।

ওই বছর অন্য সব বোর্ডের পরীক্ষা ১৭ অগাস্ট শুরু হলেও চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ অগাস্ট থেকে। বন্যার কারণে ২০২২ সালেও পরীক্ষা পিছিয়ে নভেম্বরে হয়েছিল।
এইচএসসিতে এবারের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১১ অগাস্ট। ১২ অগাস্ট থেকে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, শেষ হবে ২১ অগাস্ট।

২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। তবে কোভিড মহামারীর কারণে এই সূচি পাল্টে যায়।

ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।

একনজরে 

● চলতি বছর ১১ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।

● ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট ২ হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে।

● ২০২৩ সালে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন, কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

● নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। যাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন।

● এবার মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৮৮ হাজার ৭৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

● বিদেশের আটটি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থী ২৮১ জন।

মানতে হবে যেসব নির্দেশনা 

● পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে।

● প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে।

● ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

● ব্যবহারিক বিষয়সহ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি জন্য সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

● বহুনির্বাচনি ও লিখিত উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না ।

● প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করা উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

● কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

● পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

● পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

● পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।

● দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।

● প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন তারা।