জালিয়াতি ধরা পড়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেই লিফট অপসারণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি রাজশাহী: ঠিকাদারের জালিয়াতি ধরা পড়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন আইসিইউ ইউনিটের সেই লিফট অবশেষে সরানো হচ্ছে। গত সোমবার ঠিকাদার লিফট অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার এই লিফটের কেবিন অপসারণ করা হয়েছে।
দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা লিফটের কেবিন খুলছেন। এ কাজ শেষ হলে তাঁরা লিফটের ওপরের সিলিং অপসারণের কাজ শুরু করবেন। এই লিফটের দরজাও ছোট ছিল। ইতিমধ্যেই সেটা ভেঙে বড় করা হয়েছে।
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে লিফট স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দরপত্র অনুযায়ী লিফট সঠিক আছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে গণপূর্ত বিভাগ। গত ৬ মে এই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী এই লিফট লাগানো হয়নি। চাওয়া হয়েছিল এ গ্রেডের লিফট। সরবরাহ করা হয়েছে সি গ্রেডের লিফট। এই দুই লিফটের দামের পার্থক্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। আবার চাওয়া হয়েছিল ফায়ার প্রটেকটেড লিফট, দেওয়া হয়েছে সাধারণ লিফট।
জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ৭ মে থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে লাগানো লিফটটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার তা অপসারণ করতে পারেননি।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মুহাম্মদ শাকিউল আজম বলেন, লিফট অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন লিফট লাগাতে কত দিন সময় লাগতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরের দেশ থেকে সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে নতুন একটা লিফট এনে স্থাপন করতে প্রায় সাত থেকে আট মাস সময় লাগবে। এ সময় ঠিকাদারকে দিতেই হবে। কারণ, লিফটা তাঁকে দিয়েই লাগিয়ে নিতে হবে।