ফার্গুসনের অবিশ্বাস্য কীর্তিতে সহজ জয় নিউজিল্যান্ডের

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন লকি ফার্গুসন | ছবি: আইসিসি

খেলা ডেস্ক: ইতিহাস-ঐতিহ্য আর শক্তিমত্তায় দুই দলের যে পার্থক্য, মাঠের পারফরম্যান্সেও ফুটে উঠল তা। নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) ব্যাটসম্যানরা। তাদের অল্পে গুটিয়ে দেওয়ার পর অনায়াস জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল কিউইরা।

গ্রুপ পর্ব থেকে দুই দলের বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ত্রিনিদাদে সোমবার নিয়ম রক্ষার ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের জয় ৭ উইকেটে।

এদিন পিএনজি গুটিয়ে যায় স্রেফ ৭৮ রানে। নিউ জিল্যান্ড লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৪৬ বল বাকি থাকতে।

অভাবনীয় বোলিংয়ে ম্যাচের সেরা লকি ফার্গুসন। গতিময় এই পেসার ৪ ওভারে ৪ মেডেনে নেন ৩ উইকেট!

বিশ্বকাপে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে ৪ মেডেন নেওয়া দ্বিতীয় বোলার তিনি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭৫ রানে অল আউট হয়ে ৮৪ রানের হারে বিশ্বকাপ শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। পরের ম্যাচে তারা ১৫০ রানের লক্ষ্যে ১৩ রানে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

শেষ দুই ম্যাচে তারা দাপুটে জয় পেল আইসিসির সহযোগী দুই দেশের বিপক্ষে। আগের ম্যাচে উগান্ডাকে ৪০ রানে গুটিয়ে ৯ উইকেটে জিতেছিল কেন উইলিয়ামসনের দল।

দুইবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে সাত ম্যাচের সবগুলোই হারল পিএনজি। বিশ্বকাপে তাদের চেয়ে বেশি টানা হার আছে কেবল বাংলাদেশের, ১০ ম্যাচে।

ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় বেশ দেরিতে। টস জিতে বোলিং নিয়ে শুরু থেকে পিএনজিকে চেপে ধরে নিউ জিল্যান্ড।

পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে পিএনজি তুলতে পারে মাত্র ১৬ রান। ফার্গুসন উইকেটের দেখা পান ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই। তার বোলিংয়ে রান বের করার কোনো পথই খুঁজে পায়নি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা।

২ বল থাকি থাকতে অল আউট হওয়া পিএনজির ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পারেন তিন জন। চার্লস আমিনি সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন ২৫ বল খেলে।

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে পাঁচ জন হাত ঘুরিয়ে প্রত্যেকেই পান উইকেটের দেখা। বিশ্বকাপে নিজের বিদায়ী ম্যাচে ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। টিম সাউদি ২ উইকেট নেন ১১ রানে।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা ভালো ছিল না। দ্রুতই বিদায় নেন ফিন অ্যালেন ও রাচিন রাভিন্দ্রা।

৩২ বলে ৩৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন ডেভন কনওয়ে। তার বিদায়ের পর বাকিটা সারেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাপুয়া নিউ গিনি: ১৯.৪ ওভারে ৭৮ (উরা ১, ভালা ৬, আমিনি ১৭, বাউ ১২, হিরি ৭, সোপার ১, ডোরিগা ৫, ভানুয়া ১৪, নাও ৩, মোরিয়া ০, কামেয়া ১*; বোল্ট ৪-০-১৪-২, সাউদি ৪-০-১১-২, ফার্গুসন ৪-৪-০-৩, সোধি ৩.৪-০-২৯-২, স্যান্টনার ৪-০-১৭-১)

নিউ জিল্যান্ড: ১২.২ ওভারে ৭৯/৩ (অ্যালেন ০, কনওয়ে ৩৫, রাভিন্দ্রা ৬, উইলিয়ামসন ১৮*, মিচেল ১৯*; মোরিয়া ২.২-০-৪-২, নাও ৩-০-২২-০, ভালা ১-০-৪-০, আমিনি ১-০-৫-০, কামেয়া ৩-০-২৩-১, সোপার ১-০-১৪-০, ভানুয়া ১-০-৬-০)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: লকি ফার্গুসন