ত্বকের লাবণ্য

ত্বক ভালো রাখতে খাবার ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। মডেল: মেহজাবিন, | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

ডা. শুভাগত চৌধুরী: লাবণ্য থাকলে তবে সুন্দর। আকর্ষণীয় হলে তবে সুন্দর। ধুয়েমুছে হতে হবে পরিচ্ছন্ন। মেকআপ থাকলে তুলে ফেলুন। দিনের মলিনতা হোক দূর। মুখ হোক শুচিস্নিগ্ধ, আর্দ্রতা হোক ত্বকসঙ্গী।

ইংরেজ অভিনেত্রী জোয়ান কলিন্স, মাখন নরম ত্বক ছিল যাঁর, তাঁরই কথা—তরুণ থাকতেই শুরু হোক আর্দ্রতার চর্চা। আমাদের ত্বকে রয়েছে ৯০ শতাংশ জল, যা প্রায়ই উবে যাচ্ছে। তাই ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। তা না হলে মিল্ক বেবি লোশন।

তারুণ্য ধরে রাখতে ধূমপান নয়। বুড়িয়ে যেতে চাইলে ধূমপান। ত্বকের কোলাজেন করে ভাঙচুর তামাকের নিকোটিন আর কোলাজেনের কাজ হলো ত্বককে নরম আর কমনীয় রাখে। ঠোঁটের সঙ্গে সিগারেটের ধোঁয়া লেগে লেগে মুখ আর চোখের চারপাশে দেখা দেয় রেখা, ত্বকে আসে হলদে আভা। মদ্যপানও নয়। শরীরের রূপ হারাতে চাইলে মদের জুড়ি কম আছে। মদ্যপানে রক্তনালি হয় স্ফীত, ত্বক হয় লাল। ত্বক শুষ্ক হয়, ভাঁজ পড়ে যায়। খুঁটবেন না ত্বক। মুখের ত্বকে ব্রণ খুঁটবেন না, গালবেন না। এতে ত্বকে দাগ পড়ে। মুখ ভেংচান। এই পদ্ধতিতে মুখমণ্ডলের ভালো ব্যায়াম হয়। মুখের ত্বক থাকে সতেজ আর ভাঁজহীন। নেতিয়ে পড়া আঁখিপল্লবকে জোরালো করে। থলথলে চোয়ালের রেখা নাই করে দেয়। ডাবল চিন আর থাকে না।

বাইরে কেন নয় একটু রৌদ্রস্নান! ত্বক হোক একটু বাদামি। নিদ্রা হোক নিশ্চিন্তে। সুস্থ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চাই সঠিক ঘুম, নিয়মিত ৭-৯ ঘণ্টা। ৫ ঘণ্টার কম ঘুমালে চোখের নিচে কালি পড়বে, খসখসে আর ফ্যাকাশে হবে ত্বক।

সুষম খাদ্য খেতে হবে। প্রচুর ফল আর সবজি রাখুন খাবারতালিকায়। ফাস্ট ফুড, মসলা, ঝাল খাবার, আচার, চিপস, চর্বি ও তেল বেশি খেলে ত্বক থাকবে না ভালো। জল পান করুন ঠিকমতো। শরীর হোক জলো জলো। ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস জল পান করুন। খাওয়ার আগে–পরে জল পান করতে পারেন। দিনে আট গ্লাস জল অবশ্যই। এতে শরীর থেকে দূর হয় বিষ মল। ত্বক হয় পরিচ্ছন্ন, সুস্থ ও কোমল। মাঝেমধ্যে জলে লেবু মেশান। ঘরে বানানো ফলের রস খান। আর যেসব ফলে জল থাকে, সেসব খান বেশি বেশি। আবার বলি, ভোর শুরু হোক দুই গ্লাস জল পান করে। লাবণ্যে পূর্ণ হবে ত্বক। সবার মধ্যে আলাদা হয়ে চোখে পড়বেন। পরখ করে দেখুন। কাজ হবে।