আবদুল মালেক | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি রাজশাহী: সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

এতে সই করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব আব্দুর রহমান।

আবদুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক তাঁর ফুফাতো ভাই। আবদুল মালেক পর পর দুইবার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হাচেন আলীকে পৌরসভার প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের এই কপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে পৌরসভার চারটি প্যাকেজের কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন না করেই চেক তুলে নিয়েছেন মেয়র আবদুল মালেক।

২০২২ সালে কাজ না করেই কোটেশনের মাধ্যমে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পৌর ভবনের নির্মাণকাজ ঠিকাদারের পরিবর্তে নিজেই করেছেন আবদুল মালেক। স্বাক্ষর করে বিলও তুলেছেন তিনি নিজে।

এ ছাড়া আদায় করা পৌরকর আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম, পৌরসভার ট্রাক, রোলার ও অন্যান্য যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং পৌর এলাকার সড়কে যানবাহন থেকে স্লিপের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা তোলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তাই স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ৩১ (১) ধারা মোতাবেক আবদুল মালেককে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।