রাজধানীর পোস্তায় কোরবানির চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পোস্তায় কোরবানির চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়েছে। আজ বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্তায় গরুর কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ প্রতি পিস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক আকারে ছোট গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাসির কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকায়।
পোস্তা এলাকার আড়তদার মো. শাহাদত হোসেন বলেন, এবার শ্রমিকের মজুরিসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রতি পিস চামড়া সংরক্ষণের ব্যয় ৩০০ টাকার ওপরে পড়ে যাবে।
এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, গত বছর যা ছিল ৫০-৫৫ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় বর্গফুটপ্রতি চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা।
অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, গত বছর যা ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে সর্বোচ্চ ৭ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় মাঝারি আকারের ২৫ বর্গফুটের লবণযুক্ত চামড়ার দাম হওয়ার কথা ১ হাজার ৩৭৫ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এই হিসাব থেকে লবণ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২৫০ টাকা বাদ দিলে ওই চামড়ার আনুমানিক মূল্য দাঁড়ায় ১ হাজার ১২৫ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা।
গত বছর পুরান ঢাকার পোস্তায় মাঝারি আকারের গরুর একেকটি চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭০০-৮৫০ টাকায়। ঢাকার বাইরে দাম ছিল আরও কম। যেমন সিলেটে গরু যতই বড় হোক না কেন, চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায়। বগুড়ার শেরপুরে মাঝারি আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকায়।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বেশি ছিল। সেবার গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৮৫-৯০ টাকা। এর পর থেকে বিভিন্ন কারণে চামড়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০১৯ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বড় ধরনের ধস নামে। ন্যূনতম দাম না পেয়ে দেশের অনেক অঞ্চলে চামড়া সড়কে ফেলে ও মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ২৪২ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়। পরের বছর সরকার তৎপরতা বাড়ালে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি। তবে দাম কমে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম দাঁড়ায় ৩৫-৪০ টাকা। তারপর গত তিন বছর সরকার নির্ধারিত দাম কিছুটা বাড়লেও কোরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে সেই দরের চেয়ে কম দরে।