ঈদের নামাজ শেষে দেশের মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন মুসল্লিরা। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার হাবু ঈদগাহ মাঠে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে দেশের মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেছেন মুসল্লিরা।
রাজশাহী: রাজশাহীর বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীতে এবার সকাল সাতটায় ঈদের নামাজ শুরু হয়। ঈদের নামাজ শেষে দোয়ায় দেশের মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলিতে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে দুই শিশু। পিয়ারাখালী, ঈশ্বরদী, পাবনা, ১৭ জুন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হজরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সকাল ৮টায়, টিকাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭টা ও সকাল ৮টায় দুটি ঈদের জামাত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ৭টায়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ঈদের জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ঈদের নামাজ শেষে কোরবানির পশুর বর্জ্য রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন। এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে ৪টায়। তিনি আজ সকাল ৭টায় রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে হাজী লাল মোহাম্মদ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা: যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ সারা দেশের মতো খুলনায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাত সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ যাকারিয়া।
ঈদের জামাতে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খুলনায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হয় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে। এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মুসল্লিরা অংশ নেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের দ্বিতীয় ও শেষ জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থিত খুলনা মডেল মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল: আজ সকাল ৮টায় নগরের বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা প্রধান জামাতে অংশ নেন। পরে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা এবং সব মহামারি থেকে মুক্তি কামনা করা হয়। নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
বরিশাল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত হয় সকাল ৮টায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বরিশালে এবার ১৩২টি ঈদগাহসহ ৫৩৫টি মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রথম জামাতে অংশ নেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার মুনজীতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আজ সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাফেজ খতিব জালাল উদ্দিনের ইমামতিতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন শত শত মুসল্লি। নামাজে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। নামাজের মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদ জামাতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বাগেরহাট: বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে সাতটায় ঐতিহাসিক এই মসজিদে জেলার প্রধান ও প্রথম ঈদ জামাত হয়। পরে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় এবং সাড়ে ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ষাটগম্বুজ মসজিদে। প্রথম ও প্রধান জামায়াতে ইমামতি করেন বাগেরহাট কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে ভোর থেকেই জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এসে ভিড় জমান। মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মূল মসজিদ ভবনের বাইরেও দুটি প্যান্ডেল করা হয়।