প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি গুরুদাসপুর: নাটোরে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একজন কলেজ অধ্যক্ষ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে শহরের অদূরে একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার (৪০) ও তাঁর মোটরসাইকেলের চালক শাকিব হোসেনকে (৩২) নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাবুল আক্তার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ।

বাবুল আক্তারের বরাত দিয়ে তাঁর কলেজের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, কলেজটি নিয়ে আরেক অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান। আজ একটি মামলাসংক্রান্ত কাজে আদালতে গিয়েছিলেন বাবুল আক্তার।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের কাজ শেষে মোটরসাইকেলে গুরুদাসপুরে ফিরছিলেন বাবুল আক্তার ও তাঁর মোটরসাইকেলের চালক শাকিব হোসেন। নাটোর শহরের অদূরে হাচেনের আমবাগানে আসামাত্রই দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা পাঁচ থেকে সাত সন্ত্রাসী তাঁদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা হাতুড়ি, পাইপ ও লোহার রড দিয়ে তাঁদের দুজনকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে অধ্যক্ষ স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ৯৯৯–এ ফোন দিলে কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। এই ফাঁকে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

বাবুল আক্তার অভিযোগে বলেন, ‘কলেজটি বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হলেও একই নামে গুরুদাসপুর পৌর সদরে পৃথক কলেজ প্রতিষ্ঠা করে সাইদুল ইসলাম সেখানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী কমপক্ষে ১০টির বেশি মামলা উচ্চ ও নিম্ন আদালতে চলমান। এই মামলাগুলোর বেশির ভাগ রায় তাঁর (বাবুল আক্তারের) পক্ষে রয়েছে। এ কারণে নামধারী অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁকে হত্যা করতেই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। একটু সুস্থ হলে এ ঘটনায় মামলা করব।’

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বাবুল আক্তারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বাসাতেই অবস্থান করছি। সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগটি সত্য নয়।’