সামছুদ্দিন শেখ | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি বগুড়া: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সামছুদ্দিন শেখ ওরফে হেলালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া একই মামলায় তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবে জমজম ওরফে নাজীরকে অস্থায়ী জামিন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বগুড়ার স্পেশাল জজ মো. শহিদুল্লাহর আদালতে হাজির হয়ে তাঁরা জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সামছুদ্দিন শেখের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের বগুড়ার কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, সামছুদ্দিন শেখ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সামছুদ্দিন শেখ এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। সামছুদ্দিন শেখ এবং আবে জমজম হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত এপ্রিলে সামছুদ্দিনসহ মামলার অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আজ মঙ্গলবার সামছুদ্দিন শেখ এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সামছুদ্দিন শেখকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় সামছুদ্দিন শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজমকে অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
দুদকের মামলায় চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে সামছুদ্দিন শেখ ওরফে হেলাল এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা চারটি বাড়ি জব্দ করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের জিম্মায় নেওয়া হয়।
সামছুদ্দিন শেখ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন
নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। তিনি মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও
বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র। ১৬ কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা
কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে সামছুদ্দিন শেখ ও তাঁর
স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেন। একটি মামলায় গত এপ্রিল
মাসে সামছুদ্দিন শেখ ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজমের বিরুদ্ধে আদালতে
অভিযোগ গঠন করা হয়। অন্য দুটি মামলা করা হয়েছে তাঁর প্রথম স্ত্রী মোছা.
হেলেনা পারভীন ও ছেলে হোসাইন হাবীবের বিরুদ্ধে।