ঈশ্বরদীতে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি তিনদিন পর নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
শুক্রবার বিকেলে অবিস্ফোরিত গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। এতে নেতৃত্ব দেন বগুড়া সেনানিবাসের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান সহকারী লেফটেন্যান্ট তরিকুল ইসলাম।
এলাকাবাসী জানিয়েছিলেন, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলা সদরের এমএস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছেন। বুধবার শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকালে চলে যান।
সেই সময় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া স্বর্ণা বাড়ির পেছনে গিয়ে ওপরের অংশে লাল রঙের বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। তাঁর বাবা সুবাস কুমার দাস ওটা গ্রেনেড বুঝতে পেরে সেই জায়গায় রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তারা স্থানটি ঘিরে রাখে।
আরও পড়ুন- ঈশ্বরদীতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা এলাকার পরিদর্শন করলেও গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে অভিযান চালায়নি। পরে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষ দলকে খবর দেওয়া হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা গ্রেনেডটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। কিছুক্ষণ পর বিশেষ পদ্ধতিতে গ্রেনেডটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাকবাহিনীর অধ্যুষিত ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যে কোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটিচাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে আসে।