সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার চিত্র। শুক্রবার বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার (ইসি)। শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা লিখিত চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইসির লিখিত নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী দুই দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম প্রতীক) ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বেলকুচি থানার ভেতরে ঢুকে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের (মোটরসাইকেল প্রতীক) ওপর ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিয়েছেন। বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এসবের ভিডিও ফুটেজসহ অভিযোগ তাঁদের কাছে এসেছে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাও করেছে। এসব কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। যে কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ এম মনসুর আলী মিলনায়তনে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির মৌখিকভাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার কাছে অভিযোগ জানান। পরে অভিযোগটি লিখিত আকারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন ওই প্রার্থী।

প্রথম ধাপে ৮ মে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও মূল প্রতিন্দ্বিতা বদিউজ্জামান ফকির ও আমিনুল ইসলামের মধ্যে হবে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।