গাজায় হামাসের একটি অবস্থান লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করছেন ইসরায়েলি সেনারা। ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ |ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক:  রাফা অঞ্চলকে গাজায় হামাসের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি দাবি করে সেখানে অভিযান জোরদারের প্রক্রিয়ায় আছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে গতকাল রোববার গাজার অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের প্রতিরোধযোদ্ধাদের লড়াই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে যে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজা উপত্যকায় শক্তিশালী একটি গোষ্ঠী হয়ে টিকে থাকতে পারে হামাস।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হামাস দুই পক্ষই রোববার জানিয়েছে, গেল সপ্তাহের শেষ দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় অভিযান শুরু করার পর বিশ্বের দৃষ্টি যখন সেদিকে, সে সময় গাজার উত্তরাঞ্চলে এই লড়াই হচ্ছে।

সাত মাসের এই যুদ্ধে গাজায় এটাই সবচেয়ে পরিচিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়ে কোনো একটি এলাকা হামাস যোদ্ধামুক্ত ঘোষণা করে। তবে তা খুব বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হয় না। হামাস যোদ্ধারা আবার সংগঠিত হয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার বলেছেন, গাজার শাসনভার কীভাবে চলবে, তা নিয়ে ইসরায়েল এখনো কোনো ধারণা দিতে না পারায় তিনি হতাশ। এর অর্থ দাঁড়ায়, গাজায় ইসরায়েলের বিজয় স্থায়ী না–ও হতে পারে এবং এর মধ্য দিয়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও আবারও হামাসের শক্তিশালী উপস্থিতি দেখা দিতে পারে।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের জৈতুন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধাকে নির্মূল করার ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই সতর্কবার্তা আসে। জৈতুনের পাশের এলাকা জাবালিয়া থেকে শনিবার বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে বলা হয়। সেখানে ওই দিন রাতে দুই ডজনের বেশি লক্ষ্যবস্তুতে জঙ্গি বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, হামাস যোদ্ধারা মিলিত হচ্ছেন এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে রোববার বলা হয়েছে, তাদের যোদ্ধারা জাবালিয়ার কাছে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই করেছে। এ ছাড়া জৈতুনে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছেন যোদ্ধারা।