মোস্তফা সরয়ার ফারুকী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিনোদন প্রতিবেদক: ছকবাঁধা মানুষ নন তিনি, বরং তৈরি করেছেন নিজস্ব ধারা। নির্মাণশৈলীই তাঁর পরিচয়। গণ্ডির বাইরে গিয়ে সৌন্দর্য ও সৃষ্টিশীলতার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নেতা না হয়েও একদল তরুণ নির্মাতাকে পথ দেখিয়েছেন, যাঁরা আজ স্বমহিমায় উজ্জ্বল। সাধারণত পরিচালক নয়, অভিনেতা-অভিনেত্রী দিয়েই সিনেমা দেখার ধাত দর্শক-ভক্তদের। তবে তিনি এমন এক নির্মাতা, যাঁর নামেই সিনেমা চলে। তিনি বাংলা টিভি ফিকশন ও চলচ্চিত্রে নতুন ধারার জন্ম দিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ তাঁর ৫১তম জন্মদিন।
জনপ্রিয় নির্মাতার বিশেষ দিনে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন দর্শক, সহকর্মী থেকে শুরু করে প্রবীণ-তরুণ সবাই। জন্মদিনে নিজেকে নিয়ে কথামালা সাজিয়েছেন নির্মাতা। লিখেছেন, ‘কিছু গল্প আমাদের আরাম দেয়, কিছু দেয় আনন্দ, কিছু গল্প আমাদের বিষাদগ্রস্ত করে, কিছু কিছু গল্প ফেলে দেয় অস্বস্তির মধ্যে, কিছু গল্প উৎসাহ জোগায় আবার কিছু গল্প হাসায়। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ, আমাকে সেসব গল্পের কিছুটা বলার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা সকলেই আসলে একটি বিশাল গল্পের অংশ। পথচলার নতুন আরেকটি বছরে পা রেখে, আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই, জীবন নামের এই জার্নিতে আমাকে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘মনোগামী’তে জেফার ও চঞ্চল চৌধুরী | ছবি: চরকি |
রাজধানী ঢাকায়ই মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ১৯৭৩ সালের ২ মে রাজধানীর নাখালপাাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রথম সিনেমা ‘ব্যাচেলর’।
মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। সে সময় তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয় সিনেমাটি। অভিনয় করেন ফেরদৌস, শাবনূর, অপি করিম, হুমায়ুন ফরীদি, মারজুক রাসেল, আহমেদ রুবেল, জয়া আহসানসহ অনেকে। এই ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন অপি করিম।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সব কাজই নানাভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত। তবে তাঁর বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ডুব’।