প্রধানমন্ত্রীর স্বজন নিয়ে মন্তব্য, যশোরে যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

ফাতেমা আনোয়ার | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি যশোর: যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ‘প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন’ মন্তব্য করায় তাঁকে সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ফাতেমা আনোয়ার। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন। আমার স্বামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা। একই পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তি রাজনৈতিক দল করতেই পারেন।’ বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তাঁকে সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়কের পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা ও অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তাঁর নাম আছে।

সুপারিশের বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার বলেন, রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা একজন নাগরিকের অধিকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উদাহরণ হিসেবে কথাটি বলেছিলেন। এটা বলে তিনি কোনো অন্যায় করেননি। এখন চাটুকারদের রাজনীতি চলছে। তারই অংশ হিসেবে তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন। তাঁরা করতেই পারেন।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার যুবলীগের নেতা তৌহিদ চাকলাদারকে সমর্থন দিয়েছেন। শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই তৌহিদ। অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছেন।