প্রতিনিধি বান্দরবান: ব্যাংক ডাকাতি করে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের বাহিনীর বিরুদ্ধে দুঃসাহসী সন্ত্রাসী তৎপরতা দেখিয়ে কেউ পার পাবে না। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে না পারে, বিজিবির প্রত্যেক সদস্য অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থেকে কাজ করছে। কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চলবে।
সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এ কথা বলেছেন। তিনি বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের বিভিন্ন সীমান্তচৌকি (বিওপি) ও ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে রুমা ৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মহাপরিচালক কেএনএফের বিরুদ্ধে চলমান সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সমন্বিত অভিযানের কার্যক্রমও পরিদর্শন করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান সমন্বিত অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্নভাবে বিজিবি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিজিবির বলীপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়নের আওতায় অস্থায়ী একটি নতুন ছাউনি (বেইস) করা হয়েছে। সেখানে বিজিবি সদস্যরা গোপন অকুস্থলে (স্পট হাইড) সতর্ক অবস্থান নিয়ে প্রয়োজনে উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান করছে। কেএনএফ সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্তে চলাচল করতে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে না পারে, প্রত্যেক বিজিবি সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন।
চলমান অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অভিযানে সফলতা আছে। ব্যাংক ডাকাতি করে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখিয়ে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রেহাই পাবে না। তিনি বলেন, এই এলাকার বম জনগোষ্ঠীও কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সমর্থন করছে না। তারা কেএনএফের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে কেএনএফ ব্যাংক ডাকাতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র লুট করে। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে। ওই অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য মূলত বিজিবি মহাপরিচালক বান্দরবানের রুমা ও থানচি সফরে এসেছেন বলে বিজিবির কর্মকর্তার জানিয়েছেন।