ইসরায়েলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শনাক্তকারী বেলুন | ফাইল ছবি: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সৌজন্যে
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়। এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
পাল্টাপাল্টি এ হামলার তথ্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)। হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ঘাঁটি থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার জন্য বিশালাকার একটি বেলুন পরিচালনা করা হয়। সেটি ‘স্কাই ডিউ’ নামে পরিচিত।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়। তবে গতকাল প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বেশ ভেতরে হামলা চালাল তারা। আগের হামলাগুলো ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল।
এদিকে হিজবুল্লাহর হামলার জবাবে বুধবার রাতেই উত্তর-পূর্ব লেবাননের বালবেক এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানা লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। কারখানাটি লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত।
গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত ও সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাঁদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন দেশটির এক সেনাসদস্য ছাড়াও অন্তত ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক।