সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার স্যাংশন-ভিসা নীতি কেয়ার করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। একটা দেশের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন, এটা নিয়ে এত মাতামাতি কিসের।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অবস্থিত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি পাত্তা দিচ্ছে কি না আমি জানি না। তারা ওপরে ওপরে অনেক কিছুই পাত্তা দেয় না। আবার তলেতলে পাত্তা দেয়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির লোকেরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, এটা কি সম্ভব? ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে? শাড়ি কাপড় তো আসবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আসবে। আমদানি–রপ্তানি চলবে। বিএনপির কাছে এখন কোনো ইস্যু নেই। তাই একটা ইস্যু তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। তাদের এখন আন্দোলনের কথাটাই বলতে হবে। এখন আবার তাদের সমমনারা বলছে গরম কমে গেলে আন্দোলন। কত দিন পর বলবে কোরবানির ঈদের পর আন্দোলন। ইদানীং তারা ঢাকায় দুটি সমাবেশ করেছে, দুটিই ফ্লপ হয়েছে। তাদের কর্মীরা হতাশ। তাই তাদের কর্মীরা এখন আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের সড়ক উপদেষ্টা কমিটির মিটিং আছে। যেখানে সিটি করপোরেশনের মেয়র উপস্থিত থাকবে। মিটিং থেকে একটা সিদ্ধান্ত হবে। বাসের শৃঙ্খলার বিষয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইলেকট্রিক বাস ডাবল ডেকার দেওয়ার কথা ছিল। এখন তারা সিঙ্গেল ডেকার দিতে চাইছে। এটার আমদানি সহজ করার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। মহামারির কারণে দীর্ঘদিন আমরা উপদেষ্টা কমিটির কোনো মিটিং করতে পারিনি। এখন দেরিতে হলেও আমরা আগামীকাল মিটিং করতে পারছি। সেখানে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে। এক্সপ্রেসওয়ের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর যেতে আগে দুই–আড়াই ঘণ্টা সময় লাগত। এখন ৮ থেকে ১০ মিনিটে যাওয়া যায়।’
মেট্রোরেলে ভ্যাট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বের কোনো দেশে মেট্রোতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেই। আমি সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।’
আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে বিআরটির পথে বাস চলবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর বিআরটি দুর্ভোগের সড়ক নয়। কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু বাস আনা বাকি। আমরা ভালো বাস আমদানি করব। বাস আমদানি করা হলে গেলে এই পথ চালু করে দেওয়া হবে।’