গীতি-আলেখ্যে ছায়ানটের বড়দের দলের সম্মেলক গানের সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভার | ছবি: ছায়ানটের সৌজন্যে |
নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ষার মেঘে বদলে যায় প্রকৃতি। ফুটে ওঠে যূথী, কুন্দ ফুল। সেই বর্ষাকে আহ্বান করে নজরুলজয়ন্তীর দ্বিতীয় দিনের আয়োজন শুরু হলো কবির ‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ গানের সুরে সুরে। বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সন্জীদা খাতুনের গ্রন্থনায় পরিবেশন করা হয় এ গীতি-আলেখ্য ‘সজল শ্যাম ঘন দেয়া’। গীতি-আলেখ্যে ছায়ানটের বড়দের দলের সম্মেলক গানের সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন শিল্পী সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানটের মিলনায়তনে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। আজকের আয়োজনে ছিল কয়েকটি পর্বে ২৫টির বেশি পরিবেশনা। প্রতিটির শুরুতে সংশ্লিষ্ট পর্বটির গান নিয়ে সংক্ষেপে কথা বলেন একজন করে, যা ‘কথন’ নামে পরিচিত। শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথন দিয়ে আয়োজন শুরু হয়। এরপর ‘বরষা ওই এলো বরষা’ ও ‘মেঘ-মেদুর বরষায় কোথা তুমি’সহ অন্য নজরুলসংগীত পরিবেশনায় মুগ্ধ হন শ্রোতারা।
‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ গানের সুরে সুরে শুরু হয় ছায়ানটের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। ছায়ানটের মিলনায়তন | ছবি: ছায়ানটের সৌজন্যে |
নজরুলের জন্মবার্ষিকী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের পরিবেশনায় মাঝেমধে৵ কথন শুনিয়েছেন ডালিয়া আহমেদ। আজকের আয়োজনে একক গানই ছিল বেশি। ছায়ানটের শিল্পীদের পাশাপাশি নজরুলসংগীত পরিবেশন করেছেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
সজল শ্যামল ঘন দেয়া পর্ব শেষে নজরুলের ‘সোনার হিন্দোলে কিশোর-কিশোরী’ গেয়ে শোনালেন মাকসুদুর রহমান মোহিত খান। সঞ্জয় কবিরাজের কণ্ঠে শোনা গেল ‘গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙে যায়।’ বিটু কুমার শীল শোনালেন ‘ভুল করে যদি ভালোবেসে থাকি’ নজরুলসংগীতটি।
ছায়ানটের এবারের নজরুল উৎসবের শেষ দিন আগামীকাল রোববার ছায়ানট প্রকাশ করবে ‘নজরুলসংগীত: তথ্য, ভাব ও সুরসন্ধান’ গ্রন্থ। এ গ্রন্থের সম্পাদনা করেছেন গবেষক মফিদুল হক। অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট।