প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, গুজবে কান দিবেন না। অতি উৎসাহী হয়ে আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা যাবে না।

তিনি বলেন, এর আগে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের ভোটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট প্রদানের পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

তিনি আরও বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সকলকে এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাই আইনের লঙ্ঘন ও ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‌‘নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছে। প্রতিটি প্রার্থী আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রার্থীদের জন্য যেমন আইন রয়েছে, তেমনি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যও আইন রয়েছে। সেই আইন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও দূর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এই কর্মশালায় দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক, পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম।

এ ছাড়াও দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী, দূর্গাপুর থানার ওসি খায়রুল ইসলামসহ প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারীসহ প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী বলেন, ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে। প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্ভয়ে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে দূর্গাপুর উপজেলায় ১৪ ও ১৫ মে দুই দিনব্যাপী ৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪৯৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯৯২ জন পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও ৬৭টি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ধরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে ভোট কক্ষ ধরা হয়েছে ৪৭২টি। দূর্গাপুর উপজেলায় হালনাগাদসহ এবারে মোট ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০ হাজার ৫১ জন, নারী ভোটার ৭৯ হাজার ৮৮১ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন।