জীবনযাপন প্রতিবেদক: ঘুম, খাওয়া, বিনোদন—এটাই কি বেঁচে থাকা? এই মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর একটা ভবিষ্যতের জন্য কাজ করাই বেঁচে থাকা? নাকি ঘড়ির কাঁটা ধরে সকাল-সন্ধ্যার জীবনটাই বেঁচে থাকা? টাইম সাময়িকীর মতে, জীবনকে একটি বই না ভেবে, ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র শব্দে উপভোগ করাই বিচক্ষণতা। বেঁচে থাকার সংজ্ঞা ব্যক্তি, মননভেদে ভিন্ন হয়, কিন্তু আনন্দে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা-চেষ্টা কিন্তু সবারই থাকে। সেই আনন্দে ইতিবাচক উপায়ে বেঁচে থাকার উপায়গুলো জানা যাক।
১ পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
২ যদি আপনার কাউকে ভালো লাগে, আপনি যদি ভালোবাসতে চান, তাহলে নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক উপায়ে তাকে ভালোবাসার কথা জানান। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে নিজের মনন, মানসিক অবস্থানকে বিবেচনা করুন প্রথমেই।
৩ আজকের জন্য বেঁচে থাকার অভ্যাস করুন। গতকাল আর কখনোই ফিরে আসবে না। আর আজকের দিনটা দারুণ হলে আগামীকালটাও রঙিন হবে।
৪ যদি কোনো কিছু না বোঝেন, তাহলে ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করুন। ধোঁয়াশাচ্ছন্ন বা ভাসা-ভাসা ধারণা নিয়ে বেঁচে থাকা ভবিষ্যতে মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে।
৫ আপনি যদি কারও বন্ধুত্ব চান, প্রথমেই আপনার কাছ থেকে ডাক পাঠান। উষ্ণ আর রাঙানো বন্ধুত্ব কে না চায় বলুন!
৬ আপনার দোষ কিংবা ত্রুটি থাকলে অকপটে স্বীকার করুন।
৭ কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করুন। অন্যকে আপনি বদলাতে পারবেন না, কিন্তু নিজেকে নেতিবাচক চিন্তার মানুষের কাছ থেকে সরিয়ে আনতে পারবেন।
৮ প্রতিটি মুহূর্ত উদ্যাপন করাটাই জীবন। হতাশা, না পাওয়া নিয়ে টানাটানি বিষাদের সৃষ্টি করে। মনে রাখবেন, এই মুহূর্তকে নিয়েই অনেক মুহূর্তের যোগফলই আপনার আজ, গতকাল, আগামীকাল আর পুরো জীবন!
৯ গড়পড়তা সব সমস্যার শুরু আমাদের মাথা থেকে। নিজের মাথাকে সব সময় ইতিবাচক ধারণা তৈরি করার কাজে ব্যস্ত রাখুন।
১০ আপনি যেভাবে পৃথিবী দেখেন, পৃথিবী আসলে তা-ই! আয়নায় নিজের হতাশার চেহারা দেখলে যেমন হতাশ হয়ে যাই আমরা, পৃথিবীও তেমন। আপনি ইতিবাচক থাকলে পৃথিবী ইতিবাচক হবেই।
১১ সব সময় খেয়াল রাখুন, আর সুযোগ না-ও আসতে পারে। এক দিনের জন্য বেঁচে থাকাই রঙিন জীবন তৈরি করে।
১২ এমন কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করবেন না যা কিনা আপনার মস্তিষ্কে ও মননে চাপ তৈরি করে। বেশি চাপে সব ভেঙে পড়ে।
১৩ টেলিভিশন কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মধ্যে জীবনকে আটকে রাখবেন না।
১৪ কর্মক্ষেত্রে বিদ্বেষ কিংবা সহকর্মী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়, এমন আচরণ পরিহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১৫ নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলার অভ্যাস করুন, দিন শেষে আপনার শেষ ভরসা কিন্তু আপনিই।
১৬ সব সময় ধৈর্যশীল থাকার অভ্যাস করুন। যার যা সম্মান তাকে তার চেয়ে বেশি সম্মান দেখান।
১৭ কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার আগে নিজেকে তার জায়গায় কল্পনা করুন।
১৮ ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কের লাইক কিংবা জনপ্রিয়তা সব সময় বাস্তব জীবনের নয়, তা খেয়াল রাখুন।
১৯ জীবনকে সুন্দর করতে বই পড়ার বিকল্প নেই।
২০ নিজেকে পরিবার কিংবা অফিসের কনিষ্ঠ সদস্যদের জন্য অনুসরণের যোগ্য করে তুলুন। আপনি যখন থাকবেন না, তখন তারাই কিন্তু আপনার জীবনদর্শন ধারণ করবে।
২১ ‘বেঁচে থাকাই আনন্দ’, না ভেবে ‘আনন্দে বেঁচে থাকার উপকরণ’ দিয়ে নিজের জীবন আর সময়কে রাঙিয়ে তুলুন।
গ্রন্থনা: জাহিদ হোসাইন খান
ব্রাইটসাইড ডট কম