সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে এবি পার্টি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা আর অবশিষ্ট নেই বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটির ভাষ্য, এবারের ‘প্রহসনমূলক’ উপজেলা নির্বাচন অতীতের ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়েছে। মানুষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যাননি।

শনিবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে দলের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘প্রহসনমূলক উপজেলা নির্বাচনের নামে সন্ত্রাস-হানাহানি ও লোডশেডিং সংকট সমাধান না করে উল্টো বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশের আগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবি পার্টি। বিকেল চারটায় বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সেগুনবাগিচা, নাইটিঙ্গেল, পল্টন মোড় সড়ক ঘুরে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে শেষ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, এ নির্বাচন কমিশন রাজদরবারের গোপাল ভাঁড়ে পরিণত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ ভোট দিতে যাননি।

তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শুধু লুটপাট করতেই কুইক রেন্টালের ভাড়া টাকার পরিবর্তে ডলারে দেওয়া হচ্ছে। এই লুটপাট বন্ধে সরকারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা ও লজ্জা দিনে দিনে কমছে বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, একটি দল নিজের কর্মদোষে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হওয়ার এটা বড় লক্ষণ।

সমাবেশে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে, জনগণ নাকি ধান কাটার কারণে ভোট দিতে আসেননি। তিনি এ বক্তব্যকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশের নাগরিকেরা আসলে সরকারকে বারবার প্রত্যাখ্যানের সংকেত দিচ্ছেন। সরকার তলে তলে এই অনাস্থা ও প্রত্যাখ্যানে দিশেহারা হয়ে এখন আবোলতাবোল বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি সরকারকে ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এপি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, যুব পার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান প্রমুখ।