রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আজ শুক্রবার মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ। বেলা বারোটায় উপজেলার কুমরপুর এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘এবার আমের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান, সেটাই লক্ষ্য। সিন্ডিকেট আমরা হতে দেব না।’
আজ শুক্রবার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আমবাগান পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। বিশ্বব্যাংক, বেসরকারি সংস্থার ডাসকো, কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেড ও ও সিনজেনটার সহযোগিতায় একটি বাগানে উন্নত আম চাষ পদ্ধতি পরিদর্শন করতে আসেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট যারা করে, তাদের সমাজের সর্বস্তরে যোগাযোগ আছে। সাংবাদিকদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বেশি করে লিখতে হবে।
কুমরপুর গ্রামে আমবাগান পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ |
সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আম পচনশীল পণ্য। একটা অংশ আম নষ্ট হবেই। তাঁরাও চান আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে। অন্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চান। সে জন্য দেশের ৮ বিভাগে ৮টি হিমাগার (কোল্ডস্টোরেজ) নির্মাণ করার চিন্তা আছে। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, হিমাগার নির্মাণ করার জন্য অনেক টাকার দরকার। এ জন্য দেশি-বিদেশি সহযোগিতা প্রয়োজন।
আম বাগান পরিদর্শন শেষে দুপুর ১২টায় মন্ত্রী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী। বক্তব্য দেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ভারত, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী। দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। এই দলটির সঙ্গে কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
একই দিনে মন্ত্রী গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে ধান চাষ পরিদর্শন করেন। এরপর সোনাদীঘি এলাকায় তিনি নার্সারিতে মাটি ছাড়া উন্নত প্রযুক্তিতে চারা উৎপাদন পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।