সবুজ প্রকৃতির মধ্যে থাকলে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রোগ-ব্যাধি কম হয়। মডেল: আমেনা অমি | ছবি: আরাফাত শ্রাবণ |
প্রতিবেদক জীবনযাপন: সপ্তাহের শেষে নিজের মন ভাল রাখার জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেন। কিন্তু সবথেকে ভাল উপায় নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া। সারা সপ্তাহে অনেক খাটাখাটনি সয়েই মানুষ দিনযাপন করেন। এবং বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে প্রকৃতির কাছাকাছি রাখা এখনকার সময়ে বেশ দরকারি।
এই বিষয়েই ভারতের চিকিৎসক রঙ্গন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো অর্থাৎ নিজের জরুরি সময় নষ্ট করা নয়, বরং বাস্তবিকভাবে জীবনকে বাঁচার এক নতুন উপায় – এতে মন মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। অনেক সময় কোনকিছুতেই মাথা কাজ করে না তখন ভাবনা চিন্তা থেকে একটু হলেও দূরে থাকাই ভাল এবং প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান।
মাদার নেচার কিন্তু আপনাকে এবং আপনার শরীরকে নানানভাবে সাহায্য করতে পারে! যেমন-
এটি স্ট্রেস কমাতে পারে, প্রকৃতিতে বেশ কিছুক্ষণ বিচরণ করলে আপনি এর থেকে ভাল উপকার পাবেন। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল হ্রাস পাবে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন।
আপনার ইমিউনিটি বাড়বে! গাছের মধ্যে বেশ কিছু প্রাকৃতিক কেমিক্যাল থাকে যার প্রভাব মানবদেহে খুব ভাল তাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক।
প্রকৃতি ও মানুষের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কটি বরাবরই রহস্যময়। মডেল: আমেনা অমি | ছবি: আরাফাত শ্রাবণ |
আপনি যদি অতিরিক্ত ক্লান্ত হন, তবে প্রকৃতির কাছে থেকে করা ব্যায়াম আপনাকে ভাল ফল দিতে পারে। এতে সেরোটোনিন বাড়তে পারে – তবেই আলসেমি ক্রমশ কমতে থাকে।
কোনও কাজে ফোকাস রাখা মানেই, নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে অ্যাটাচ করতে শুরু করুন। কাজের ক্ষেত্রে ফোকাস থাকা খুব জরুরি – এতে একাগ্রতা বাড়ে, এমনকি নিজের লক্ষ্য সঠিক থাকে।
রোগের মাত্রা কম করতে গেলে নিজেকে গাছপালার পরিবেশে রাখতেই পারেন। বিশেষ করে যদি টাইপ টু ডায়াবেটিস অথবা কার্দীয় ভাসকুলার থেকে থাকে তবে আবশ্যিক। এমনকি যদি ঘুম নিয়েও সমস্যা থেকে থাকে তবে সবুজ পরিবেশের সঙ্গে সময় কাটান।
চার দেয়ালের মধ্যে থেকেও তো মানসিক প্রশান্তিতে থাকা সম্ভব। তবে প্রকৃতিতে যাওয়া কেন । মডেল: আমেনা অমি | ছবি: আরাফাত শ্রাবণ |