প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ভোট পড়ার সুনির্দিষ্ট হার আগামীকাল বুধবার পাওয়া যাবে। যেখানে ভোট কারচুপির চেষ্টা হয়েছে, সেখানেই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সিইসি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার সিইসির সঙ্গে ছিলেন।

সিইসি বলেন, দ্বিতীয় পর্বের ১৫৬টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে ২৪টিতে। বিকেল চারটায় ভোট শেষ হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে উল্লেখযোগ্য সহিংসতা হয়নি। নির্বাচনটা মোটামুটি ভালোই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনোই খুব উৎসাহব্যঞ্জক মনে করেন না। ভোটের হার কম হওয়ার একটা প্রধান কারণ হতে পারে, দেশের একটা বড় রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে এবং জনগণকে ভোট প্রদানেও নিরুৎসাহিত করেছে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের চেষ্টা হতে পারে। পক্ষ–বিপক্ষ থাকতে পারে।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই। সংকটটি হচ্ছে রাজনীতিতে। আমি মনে করি, রাজনীতি যদি আরও সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়, ভবিষ্যতে হয়তো ভোটার স্বল্পতার যে সমস্যাটুকু... এগুলো কাটিয়ে উঠবে।’

সিইসি বলেন, তিনি আশা করেন রাজনীতিতে যে সংকট রয়েছে, সেটা অবশ্যই একটা সময় কাটিয়ে ওঠা যাবে এবং সুস্থ ধারায় দেশের সামগ্রিক রাজনীতি প্রবাহিত হবে। ভোটাররা উৎসাহিত হবেন। আরও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন।

সিইসি বলেন, যেখানে অনিয়ম হয়েছে, ভোট কারচুপির চেষ্টা হয়েছে, সেখানেই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে জাল ভোট দেওয়ার জন্য। দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তবে এটা ভোটকে কেন্দ্র করে নয়। অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তিনি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।