ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সড়কে বিক্ষোভের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে আজ সোমবারও রাজধানীর সড়কে নেমে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চালকেরা।

মিরপুর ও রামপুরা এলাকায় আজ বিক্ষোভ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকালে মিরপুর থেকে পাঁচ চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন চালক মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের কারণে কিছু সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে মিরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলসহ ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। এ সময় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক ক্যামেরাপারসন আহত হন।

একপর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে। আজ এই এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন, শাহাবুদ্দিন, নবীর হোসেন, রুহুল আমিন ও মোহাম্মদ জুনায়েদ হোসেন।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুক মিয়া বলেন, গতকাল রোববার পুলিশের ওপর হামলা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল থানায় তিনটি মামলা হয়। আজ যে পাঁচজনকে ধরা হয়েছে, তাঁদের মিরপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

একই দাবিতে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রামপুরা হাজীপাড়া এলাকার বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে ৪০ থেকে ৫০ জন চালক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, প্রায় ৪০ মিনিট পর সড়ক থেকে চালকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। চালকদের অবরোধের কারণে সড়কে কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ ছিল। তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার পর আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল মিরপুরে দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চালকেরা। বিক্ষোভকারীরা কালশী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স পুড়িয়ে দেন। ভাঙচুর করেন অন্তত ১০টি যানবাহন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে। একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পুলিশের এক সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করে।

১৫ মে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে অভিযানে নামে পুলিশ।