পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে ও প্রধান কোচ লুইস এনরিকে | এএফপি |
খেলা ডেস্ক: পিএসজির দায়িত্ব নিয়ে এখনো এক মৌসুমও পার করেননি লুইস এনরিকে। এর মধ্যেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ এই স্প্যানিশ কোচের সামনে। আর মাত্র দুটি ধাপ সাফল্যের সঙ্গে পার করলেই পিএসজির ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কোচ হবেন এনরিকে।
কাজটি কঠিন হলেও যে অসম্ভব নয়, সে প্রমাণ শেষ আটেই দিয়েছে এনরিকের দল। বার্সেলোনার বিপক্ষে তাদের মাঠে দুই লেগ মিলিয়ে ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পিএসজি। শেষ পর্যন্ত প্রায় হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচটি পিএসজি জেতে ৬–৪ গোলে।
যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমন জয় স্বাভাবিকভাবেই একটি দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত এবং আত্মবিশ্বাসী করে। আজ রাতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সিগনাল ইদুনা পার্কে মাঠে নামার আগেও বার্সা ম্যাচের স্মৃতি অনুপ্রাণিত করবে পিএসজিকে। পাশাপাশি কদিন আগে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করার সুখস্মৃতি তো আছেই।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনেও এনরিকের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। স্প্যানিশ এ কোচ বলেছেন, ‘গ্রুপ পর্বে আমরা প্রতিপক্ষের মাঠে জিততে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এরপর আমরা সান সেবাস্তিয়ান (রিয়েল সোসিয়াদের মাঠ) এবং বার্সেলেনার মাঠে জিতেছি। এই ম্যাচে (ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে) এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে কিংবা থামতে পারে। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে জয়। আমি জানি আমার দল বেশ সাহসী।’
পিএসজির মতো দলকে সামলানো মোটেই সহজ নয়। চুক্তির মেয়াদ শেষে ইন্টার মায়ামিতে চলে যান লিওনেল মেসি, মেয়াদ বাকি থাকতেই আল হিলালে যান নেইমার। দলের অন্যতম সেরা কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদলের আলোচনা চাউর ছিল মৌসুমজুড়ে। এর মধ্যে এমবাপ্পেকে বাদ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিও নিতে হয়েছে সাবেক এ বার্সা কোচকে। কিছুদিন ধরে লিগ ম্যাচে সেটি করেও দেখিয়েছেন এনরিকে। বার্সার বিপক্ষে প্রথম লেগে এমবাপ্পের উইং দিয়ে আক্রমণ কম হওয়া নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে এ কোচকে। কিন্তু মৌসুমে দলটির এখন পর্যন্ত ফল বলছে এনরিকের পরিকল্পনামতোই সব এগোচ্ছে।
পিএসজির অনুশীলনে এমবাপ্পেরা | এএফপি |
এর জন্য অবশ্য খেলোয়াড় এবং দলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন এনরিকে, ‘আমি আসার পর থেকে খেলোয়াড় এবং পুরো ক্লাব থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা মৌসুমজুড়ে উন্নতি করেছি এবং এটা কেবলই শুরু। আমরা এখনো শিখছি এবং উন্নতি করছি। আপনি চাপকে নেতিবাচকভাবে দেখতে পারেন না। আমরা এখন মৌসুমের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর সময়ে আছি। আমার মনে হয় আমরা রক্ষণ এবং আক্রমণ দুই জায়গাতেই মুগ্ধতা ছড়িয়েছি। কিন্তু আমাদের আরও উন্নতি সম্ভব। আমাদের আকাঙ্ক্ষা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের এখনো সবকিছু করা বাকি। কারণ এ ধরনের প্রতিযোগিতায় সামান্য বিষয়ও জয় এবং পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেয়।’