কবি নির্মলেন্দু গুণ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি। তেজগাঁও, ঢাকা, ১৭ মে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বিশেষ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ থেকে কোনো উপাধি না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। তিনি বলেন, ‘একটি সাহিত্য পত্রিকা আমাকে “পোয়েট অব বঙ্গবন্ধু” খেতাব দেয়। আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত বোধ করছি। আমার মনে হয়েছে যে খেতাব আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া উচিত ছিল, একটি পত্রিকা সেই দায়িত্ব পালন করেছে।’

শুক্রবার তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে এ আক্ষেপের কথা জানান কবি নির্মলেন্দু গুণ।

১৭ মের বাইরে শেখ হাসিনার জীবনে আরেকটা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন রয়েছে বলে জানান নির্মলেন্দু গুণ। ২০০৭ সালে সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেত্রীকে কারাগারে প্রেরণ করেছিল। তখন আমি প্রায়ই কারাগারে ফুল নিয়ে যেতাম নেত্রীকে দেওয়ার জন্য।’

নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমেরিকায় যাবেন কি যাবেন না, এ নিয়ে দ্বিধার মধ্যে ছিলেন। তখন আমি আমার প্রিয় বন্ধু ও নেত্রী হিসেবে একটি পরামর্শ দিয়েছিলাম, বলেছিলাম আপনি যান। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি সামরিক শাসকদের উপেক্ষা করে আমেরিকায় যান, তাহলে দুটো কাজ হবে। এক হবে আপনি সামরিক বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করেছেন, তাদের নির্দেশ অমান্য করার সাহস আপনার আছে, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আপনার সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মেলানো সম্ভব নয়।’

ওই সময় শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ আরও বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এক ঢিলে দুটো পাখি শিকার করবেন। কিন্তু খালেদা জিয়া সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কখনো বিদেশ যাওয়ার সাহস পাবেন না। তিনি গিয়েছিলেন আমেরিকায়। তাঁর আসা বিলম্বিত করার জন্য সামরিক বাহিনী অনেক চেষ্টা করেছিল। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তাঁকে টিকিট দিয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে আনতে অস্বীকার করে। তখন শেখ হাসিনা ইত্তেহাদ বিমানে করে ফিরে এসেছিলেন বীরের বেশে। বিমানবন্দরে লাখো মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়েছিল। এটাও তাঁর প্রত্যাবর্তন দিবস।’