বগুড়া জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ মুহূর্তে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক ও বর্তমান দুই নেতা। একই সঙ্গে তাঁরা বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মেদ সাখাওয়াত হোসেনকে (আনারস প্রতীক) সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সারিয়াকান্দি প্রেসক্লাবে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আলাদাভাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন দুই যুবলীগ নেতা। তাঁরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম এবং উপজেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ।

সংবাদ সম্মেলনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সালাম বলেন, ‘প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেছিলাম। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই জয় বাংলা স্লোগান দিতে শিখেছি। প্রয়াত সংসদ সদস্যের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটা সমীচীন হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এ কারণে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

১৫ মিনিট পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে একই জায়গায় পৃথক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী আশিক আহম্মেদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রচারণার মাঠে ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সঙ্গে আমার কর্মী ও সমর্থকদের প্রয়াত সংসদ সদস্যের পুত্র সাখাওয়াতকে বিজয়ী করতে আনারস প্রতীকের পক্ষে করার জন্য অনুরোধ করছি।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে সারিয়াকান্দিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বেশ আগে থেকেই দলের বেশ কয়েকজন নেতা মাঠে নামেন। কিন্তু গত ১৬ মার্চ আস্থাভাজন নেতা-কর্মীদের নিজের বাসায় ডেকে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান তাঁর ছেলে মোহাম্মেদ সাখাওয়াত হোসেনকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ঘোষণা করেন। এরপর অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামেন সাখাওয়াত।

এক সঙ্গে দুই প্রার্থীর মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে সাহাদারা মান্নান নিজেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে সাহাদারা মান্নান নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। এবার দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে নিজের ছেলেকে প্রার্থী করেছেন। অনেকেই আশা করেছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মেনে তাঁর ছেলে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তা দেননি।