ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া | ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়াতে রাশিয়া এবার দেশটির উত্তর-পূর্ব দিকের খারকিভ অঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে। রুশ বাহিনীর হামলার মুখে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারের কাজ চলছে। অপর দিকে প্রতিরক্ষা খাতের নেতৃত্বে রদবদল করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যাপ্ত অস্ত্র হাতে পাওয়ার আগেই ইউক্রেনের দুর্বলতার সুযোগের সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে সামরিক তৎপরতা চালানোর পর মস্কো এবার নতুন জায়গায় হামলা শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে খারকিভ অঞ্চলে যতটা সম্ভব জমি দখল করতে বড় অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ভোভচানস্ক শহরের উপকণ্ঠে দুই বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, বেশ কিছু ক্ষেত্রে রুশ বাহিনী ‘কৌশলগত সাফল্য’ পাচ্ছে। সেনাদের প্রাণহানি উপেক্ষা করে বেপরোয়া অভিযান চালাচ্ছে তারা। এতে কমপক্ষে ১০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছেন।

ভোভচানস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার পরস্পরবিরোধী দাবি শোনা যাচ্ছে। রোববার রাশিয়া জানিয়েছে, আরও চারটি গ্রাম তাদের দখলে এসে গেছে।

রুশ বাহিনীর বড় অভিযানের মুখে নিরীহ মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার মানুষদের অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে ‘ইভাকুয়েশন পয়েন্টে’ চলে যেতে বলেছেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। গত কয়েক দিনে প্রায় ছয় হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খারকিভের গভর্নর জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় খারকিভ অঞ্চলের গ্রামগুলোতে ‘রক্ষণাত্মক সংঘর্ষের’ কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, সেখানে সংঘর্ষের মাত্রা দোনেৎস্কের অঞ্চলগুলোর মতো এত তীব্র নয়।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর সময় রাশিয়ার সেনাবাহিনী খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

এই মুহূর্তে বাসিন্দারা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন না। খারকিভের মেয়র ইগর তেরেখভ বলেছেন, শহর আপাতত শান্ত রয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদল এনেছেন। দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে সরিয়ে দিয়েছেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আন্দ্রেই বেলুসভের নাম ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেলুসভকে নিয়োগের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা বাজেটকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন তিনি। এ ছাড়া তিনি অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে শক্তিশালী করে ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে উন্নত উদ্ভাবনকে কাজে লাগাবেন।