প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় প্রায় ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিলো লাখো গ্রাহক। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে প্রাত্যহিক কাজে তাঁদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বাড়িতে পানির সংকট দেখা দেয়। মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় প্রয়োজনীয় যোগাযোগও বন্ধ হয়ে পড়েছিলো। তবে পল্লী বিদ্যুৎ ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, উপজেলাটিতে পুরোপুরিভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার রাত থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। ওই সময় কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও সন্ধ্যায় প্রচণ্ড বাতাসের কারণে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত উপজেলাটিতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

পৌরসভার বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. দিদার বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল না থাকায় স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। ব্যবহার ও খাওয়ার পানির সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অধিকাংশ বাসিন্দা।

মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান পাকশী ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় খুব কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন এলাকার লোকজন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বিদ্যুতের কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিমালের প্রভাবে শ খানেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতগুলো স্থানে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে এগুলোর কাজ করতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ দাশুড়িয়া জোনাল শাখার সহকারী পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বলেন, বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ার কারণে তা সরিয়ে তারের সংযোগ দিতে সময় লাগছে। অনেক জায়গায় খুঁটিও ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আমাদের লোকবল কম থাকায় সময় লাগছে। তাঁরা মাঠে কাজ করছেন। শিগগিরই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।