মনজুর রহমান | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি লালপুর: নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে লালপুর থানায় মামলাটি করেন মনজুর রহমানের ভাই মাসুদ রানা। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ‘তদন্তের স্বার্থে’ আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
লালপুরের গোপালপুর রেলগেটের পাশের একটি দোকানের সামনে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা মাথায় ও বুকে গুলি করে মনজুর রহমানকে হত্যা করে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। মনজুর চাকরির পাশাপাশি ঠিকাদারি করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর গোপালপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহারুল ইসলামকে সুগার মিলের ২ নম্বর ফটকের সামনে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন মনজুর। মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মনজুর রহমান খুনের পরপরই গোপালপুর শহরে পুলিশ অভিযান শুরু করে। শহরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আজ বুধবার বিকেলে নিহত মনজুরের ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা বাদী হয়ে ১৬ জনের নামে লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পূর্ববিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তিনি এজাহারে দাবি করেছেন।
এদিকে নিহত মনজুরের মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করার পর বুধবার বিকেলে গোপালপুরের বাহাদিপুরে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। জানাজা শেষে রাতেই মরদেহ দাফন করার প্রস্তুতি চলছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, মনজুর রহমানের খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মামলার এজাহার পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।