সুন্দরবনে আগুন নেভাতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ফেলা হচ্ছে | ছবি: বিমান বাহিনীর সৌজন্যে

বিশেষ প্রতিনিধি: সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমোরবুনিয়ায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছেন। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

সুন্দরবনের আগুনের বিষয়ে আজ রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এসব কথা জানিয়েছে। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি প্যাট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপনস টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ‘ফায়ার লাইন’ (আগুন নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চারদিকে নির্দিষ্ট গভীরতায় ভূমি খনন) কাটার কাজ শুরু করেন।

বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে নদী থেকে পানি নিয়ে সুন্দরবনে আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয় | ছবি: বিমান বাহিনীর সৌজন্যে

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগুন লাগার স্থানের চারদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে যেহেতু গাছের শিকড়ের মধ্য দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করছে, কাজেই সতর্কতার সঙ্গে আগুন নেভাতে হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা, আগুন আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয়ে তদন্তের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ সুন্দরবনের অগ্নিনির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত আছেন এবং তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।