ইরানের পতাকা | ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইরানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ সমানতালে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ার পর ইরান তাদের কার্যক্রমে গতি এনেছে। গতকাল সোমবার আইএইএর দুটি গোপন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ইরানে আইএইএ বেশ কিছু কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়েছে। গত বছর তাদের যৌথ বিবৃতিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতির সামান্য কিছু পদক্ষেপ ইরানে গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে।

এ মাসে গ্রোসি ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য ও সহযোগিতা জোরদার করতে ইস্পাহান যান। কিন্তু এরপর থেকে তাঁদের আলোচনা আবার স্থবির হয়ে গেছে। এর মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন।

ইরানের নতুন সরকারের কাছে তিনি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইএইএর ৩৫ সদস্যদেশের বোর্ড অব গভর্নরের পক্ষ থেকে দেড় বছর আগে ইরানের বিরুদ্ধে একটি খসড়া প্রস্তাব পাস করা হয়। এতে দ্রুত ইরানকে আইএইএর তদন্তে সহযোগিতার আদেশ দেওয়া হয়। ওই সময় ইরানের ঘোষণা না দেওয়া তিনটি স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের কাজ চলছিল। এরপর ইরানের পক্ষ থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা দুটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহের বোর্ড মিটিংয়ে ইরানের জন্য নতুন খসড়া প্রস্তাব আনার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেয়নি। এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে আরও বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র তৈরিতে ইউরেনিয়াম ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে হয়। ইরান ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। ১১ মে পর্যন্ত ইরানের কাছে ১৪২.১ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা গত প্রান্তিকের চেয়ে ২০.৬ কেজি বেশি।

পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, বেসামরিক কাজের জন্য এর চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তবে ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।