জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর
হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন
প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
সুব্রত কুমার বালা বলেন, মামুনুল হক এই কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছায়। বেশ কটি মামলা থাকায় তা যাচাই–বাছাই করা হয়েছে। যাচাই–বাছাই শেষ করতে সময় লেগে যায় এবং গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন না পাওয়ায় তাঁকে গতকাল রাতে মুক্তি দেওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতারা | ফাইল ছবি |
এদিকে মামুনুল হকের মুক্তির খবরে শত শত ভক্ত ভিড় করতে শুরু করেন কারা ফটকের সামনে। এ সময় ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় গত ৪ এপ্রিল জামিন পান মামুনুল হক। নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এসে তাঁকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁকে নজরদারির মধ্যে রাখে।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুল হককে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছিলেন মামুনুল হক।