আটঘরিয়াতে ঘুষ না দেওয়ায় সুপারকে মারধরের পর তালাবদ্ধ

পাবনা জেলার ম্যাপ

প্রতিনিধি আটঘরিয়া: ঘুষ না দেওয়ায় পাবনার আটঘরিয়ায় এক মাদ্রাসার সুপারকে মারধর করে অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোপনপুর দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আটঘরিয়া থানায় সভাপতিসহ  পরিচালনা কমিটির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে,  পরিচালনা কমিটির সভাপতি কুতুব উদ্দিন, সদস্য নাজমুল হক, পাঞ্জাব আলী, আমিরুল ইসলাম, শুকুর আলী, সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রতি মাসে বেতন শিট স্বাক্ষর বাবদ টাকা নিতেন। এ নিয়ে সুপারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সভা চলাকালীন সুপার জামাল উদ্দিনকে একই কারণে গালাগাল করতে থাকেন সভাপতি ও কয়েকজন সদস্য। একপর্যায়ে তারা সুপারকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এর পর মাদ্রাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে শিক্ষক ও এলাকাবাসী এসে সুপারকে উদ্ধার করেন।

সুপার জামাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন শিট মাসের ৬ তারিখের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেওয়ার নিয়ম। এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় করতে সভাপতির স্বাক্ষরের জন্য বেতন শিট নিয়ে গেলে তিনি ঘুষ দাবি করেন। শিক্ষকরা তা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকেন। ফলে বেতন শিট ব্যাংকে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সভাপতিসহ পাঁচ সদস্য মাদ্রাসায় ঢুকে বেতন শিটে সই না করে সুপারকে গালাগাল শুরু করেন। একপর্যায়ে মারধর করে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

মাদ্রাসার অফিস সহকারী রুহুল আমিন বলেন, সভা চলাকালীন সুপার ও সভাপতির মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সভাপতি সুপারকে মারধর শুরু করেন। পরে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সভাপতি কুতুব উদ্দিন। তিনি বলেন, সুপার নিজেই দুর্নীতিবাজ। এ জন্য কমিটির সদস্যরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ছাড়া বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।