হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হামলায় আহতরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার সুজানগরে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রানীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— দক্ষিণ রাণীনগর এলাকার এস এম আবুল হোসেনের ছেলে রানীনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), মৃত আব্দুল গফুর খানের তিন ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫০), ফিরোজ খান (৫২) ও জালাল খান (৪৫)। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আহতরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবের নির্বাচনে তাঁর পক্ষে কাজ করেছেন এবং একই এলাকার অভিযুক্ত খালেক শেখ, নান্নু শেখ, ফারুক, হৃদয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের পক্ষে কাজ করেছেন।
প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শুরু থেকেই তাদের মধ্যে এ নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে আজ শনিবার দুপুরে অতর্কিতভাবে বিজয়ী চেয়ারম্যান ওহাবের সমর্থকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনার কাছে থেকেই প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে আমার জানারও আগ্রহ নেই।’
বিজয়ী চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে শাহীনের লোকজন আমার লোকজনের ওপর একের পর এক হামলা করছে। বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাই, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
এ বিষয়ে পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা কিনা তদন্তের পর বলা যাবে।’